কুয়েত প্রবাসী ভাইয়েরা সাবধান,,,,?বাজারে এখন প্লাস্টিক মাছ,,,? ভিডিওটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন হবার সুযোগ করে দিন।
প্লাস্টিকের ডিম কিংবা চালের কথা অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। এবার শোনা গেলো, প্লাস্টিক দিয়ে শুধু ডিম বা চালই নয় তৈরি হচ্ছে মাছও। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন প্লাস্টিকের মাছ! মাছগুলো দেখতে আসল মাছের মতোই। তবে আঁশগুলো ভালোভাবে খেয়াল করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে এগুলো প্লাস্টিকের তৈরি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্লাস্টিকের মাছের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখানো হয়, কুয়েতের এক প্রবাসী বাংলাদেশী দেশটির একটি স্থানীয় বাজার থেকে চার কেজি ওজনের একটি মাছ কিনে এর কিছুটা রান্না করেন। পরে খাওয়ার সময় প্লাস্টিকের গন্ধ পেলে তার সন্দেহ হয়। পরে বাকি মাছগুলো পরীক্ষা করে দেখেন মাছগুলো প্লাস্টিকের তৈরি।
ভিডিওতে দেখানো হয়, মাছগুলোর আঁশ দুই-তিন পরতের, যা তৈরি হয়েছে প্লাস্টিক দিয়ে। ভিডিওটিতে ওই যুবক দাবি করে, মাছটির মূল অংশ বাদে পুরো আবরণটা প্লাস্টিকের তৈরি। যুবকটি মাছের একটি পিছ নিয়ে দাবি করে, এটি প্লাস্টিকের তৈরি। এক পর্যায়ে সে মাছের নরম অংশটা ফেলে দিয়ে কাটা বের করে দাবি করে, এটি প্লাস্টিকের তৈরি।
ভিডিওতে যুবকটিকে মাছের বাইরের আঁশ এবং নরম অংশটা নিয়ে টানাটানি করতেও দেখা যায়। তার দাবি মাছটি তৈরি হয়েছে প্লাস্টিক দিয়ে। এক পর্যায়ে মাছের মাথার অংশটি দেখাতে শুরু করে যুবকটি। সে দাবি করে, মাছের কানটি প্লাস্টিকের, সেটিও কোন রকমে বসিয়ে দেয়া হয়েছে আর কেমিক্যাল লাগিয়ে রক্ত বোঝানো হয়েছে। সে মাছের পিসগুলো নেড়েচেড়ে দেখিয়ে বলতে থাকে, মাছে কোন কাঁটা নেই। এভাবে ছয় মিনিটের ভিডিওতে বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়েছে মাছটির পুরোটাই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।
যুবকটি ভিডিওতে জানায়, মাছটি তারা দুই/তিনদিন রান্না করে খেয়েছে। এতে করে কয়েকজনের নানা ধরনের পেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার দাবি মাছটি নাকি রুই মাছ হিসেবে কিনেছে। এগুলো রান্না করলে নাকি এক ধরনের প্লাস্টিকের গন্ধও হয়। ভিডিওতে বার বার মাছ কেনার সময় সচেতন হওয়ার আহ্বান জানায় ওই যুবক।তবে প্রকাশিত ভিডিওতে অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। শুন্যতা নামের একজন বলেছে, কুয়েতে যত খাবার সামগ্রী বাহির থেকে আসে সবগুলো পরীক্ষিত হয়ে আসে। কিছু দিন আগে বাংলাদেশ এবং ভারতের সবজি উপর আমদানি নিষেধ করেছে কুয়েত সরকার কারণ সবজিতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল দেয়া হয়। এমন হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমিও কুয়েত সালমিয়া আছি আর মুরগাবের সবগুলো মাছের দোকান চিনি।'
ওমর কুণ্ড নামের একজন বলেছেন, 'ভিডিওটি দেখে বোঝা গেল,দীর্ঘ দিন স্টোরে থাকায় এমন হয়েছে। আর একটা কথা প্লাস্টিক মাছ হলে রান্না করলে তা গলে গিয়ে জল হবে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর মাছ দোকানদার কি এভাবে ব্যবসা করতে পারবে?' অনেকেই বলছেন, দীর্ঘদিন মাছগুলো ফ্রোজেন হওয়ায় এমনটা হয়েছে।
Copy : bangla.24livenewspaper.com, by আন্তর্জাতিক ডেস্ক Published: 24 June 2018
Post a Comment